জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী বেশ কিছু পণ্য ও সেবায় ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক এবং আবগারি শুল্ক বৃদ্ধি করা হচ্ছে। তবে এ তালিকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য অন্তর্ভুক্ত নয়, ফলে সাধারণ জনগণের জন্য এর প্রভাব সীমিত থাকবে।
এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল আমিন শেখ জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা। গত চার মাসে নিত্যপণ্য সরবরাহ বৃদ্ধি ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে চাল, আলু, পেঁয়াজ, চিনি, ডিম, খেজুর, ভোজ্যতেল সহ আটটি পণ্যে বিভিন্ন শুল্ক ও কর ছাড় দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, ভ্যাটের আওতা বৃদ্ধি এবং হার যৌক্তিকীকরণের লক্ষ্যে এনবিআর বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। আইএমএফের চাপের কারণে সরকার কিছু পণ্যে বাড়তি মূসক ও শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছে, যার মধ্যে রয়েছে ওষুধ, গুঁড়া দুধ ও সিগারেট। এই পরিবর্তনগুলো বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।
এনবিআরের এই পদক্ষেপগুলো বাজেট ঘাটতি মোকাবেলা এবং রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্য জরুরি একটি উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই পদক্ষেপের ফলে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।