কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আবাসিক হলে মাদকদ্রব্য পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর সিট বাতিল করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এক মতবিনিময় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম।
সভায় গৃহীত অন্যান্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে: আবাসিক সিট বরাদ্দ না থাকলে হলে অবস্থান করা যাবে না, শিক্ষার্থীদের কেবল তাদের নিজ হলে অবস্থান করতে হবে, কোন কক্ষে হিটার ব্যবহার করা যাবে না এবং হলে কোন গণরুম থাকবে না।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এই সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনা করছে, যাতে হলের পরিবেশ সুষ্ঠু এবং নিরাপদ থাকে। প্রশাসন জানিয়েছে, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হবে এবং কোনো ধরনের ব্যতিক্রম সহ্য করা হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষদের নিয়ে গঠিত প্রভোস্ট কমিটি এই সিদ্ধান্তগুলোর কার্যকরী বাস্তবায়ন তত্ত্বাবধান করবে। কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রাধ্যক্ষ মো. জিয়া উদ্দিন এবং সদস্য সচিব হিসেবে কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রভোস্ট মোহাম্মদ নাসির হুসেইন। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম, ড. সুমাইয়া আফরীন সানি, ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান খান এবং ড. মোসা. শাহীনুর বেগম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষ্যে, প্রশাসন হলের বিভিন্ন প্রবেশপথে নজরদারি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং সুষ্ঠু পাঠদান পরিবেশ নিশ্চিত করতে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং সর্বশেষ আপডেট পেতে আরও পড়ুন।