সিবি ডেস্ক: বাংলাদেশে বর্তমানে ৫৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যার মধ্যে ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের সদস্যদের নামে। শেখ হাসিনার নামে রয়েছে দুটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং তিনটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ, আর বঙ্গবন্ধুর নামে রয়েছে ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় ও দুটি মেডিক্যাল কলেজ।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর নামের জটিলতা নিয়ে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা বর্তমানে সমস্যায় পড়েছেন, কারণ একই নামে একাধিক প্রতিষ্ঠান থাকায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসতে বর্তমান সরকার নামকরণের ক্ষেত্রে নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। নীতিমালা চূড়ান্ত হলে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজগুলোর নাম পরিবর্তন করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
– **বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়** (১৯৯৮)
– **বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়** (২০১৩)
– **বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়** (১৯৯৮)
– **বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়** (২০১৬)
– **বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ** (২০১০)
– **শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোনা** (২০১৮)
– **বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুর** (২০১৮)
– **বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট** (২০১৮)
– **বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড এরোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়, লালমনিরহাট** (২০১৯)
– **বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ** (২০২১)
– **শেখ হাসিনা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা** (২০২১)
– **বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর** (২০২২)
– **বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, নওগাঁ** (২০২৩)
সরকারি খরচে যত্রতত্র নামকরণ বন্ধের লক্ষ্যে একটি চার সদস্যের কমিটি কাজ করছে। এই কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নাম পরিবর্তনের বিষয়ে সুপারিশ করবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে নামকরণ করা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানগুলি।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নাম পরিবর্তনের বিষয়ে মতামত চাইলে কমিশনের সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নতুন নীতিমালা প্রণয়ন হলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা শিক্ষাক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।