চীনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিশেষ বৃত্তির সুযোগ। এই বৃত্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে পড়াশোনা, থাকা-খাওয়া, বিমানভাড়া এবং মাসিক ভাতা পেতে পারেন। চীন সরকার চায়না স্কলারশিপ কাউন্সিলের (সিএসসি) মাধ্যমে তিন ধরনের বৃত্তি প্রদান করে থাকে: টাইপ-এ, টাইপ-বি এবং টাইপ-সি।
চায়নিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ (টাইপ-এ)
টাইপ-এ স্কলারশিপে মূলত সরকারি সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করা হয়। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ৫০-৬৫ জন শিক্ষার্থী এই সুযোগ পান।
আবেদনের প্রক্রিয়া:
- বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চীনের দূতাবাসে আবেদন করতে হয়।
- মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক বাছাই ও সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রার্থীদের সিএসসিতে পাঠানো হয়।
- আবেদন করতে হয় অনলাইনে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।
চায়নিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ (টাইপ-বি)
টাইপ-বি স্কলারশিপ সরাসরি চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত হয়। এই বৃত্তিতে প্রতিযোগিতা তুলনামূলক কম।
সুবিধাসমূহ:
- আবেদন ফি, টিউশন ফি এবং আবাসন ফি মওকুফ।
- স্বাস্থ্যবিমা, মাসিক ভাতা এবং বিমান ভাড়ার সুবিধা।
- স্নাতক পর্যায়ে মাসিক ২,৫০০ ইউয়ান, স্নাতকোত্তরে ৩,০০০ ইউয়ান এবং পিএইচডিতে ৩,৫০০ ইউয়ান প্রদান করা হয়।
যোগ্যতা:
- নন-চায়নিজ নাগরিক।
- স্নাতকের জন্য সর্বোচ্চ বয়স ২৫ বছর, স্নাতকোত্তরের জন্য ৩৫ বছর এবং পিএইচডির জন্য ৪০ বছর।
চায়নিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ (টাইপ-সি)
টাইপ-সি স্কলারশিপ আংশিক সহায়তা প্রদান করে, যা টিউশন ফি আংশিকভাবে কাভার করে।
আবেদন করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- পাসপোর্ট।
- সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট।
- মেডিকেল সার্টিফিকেট।
- সিভি, স্টাডি প্ল্যান বা রিসার্চ প্রপোজাল।
- আইইএলটিএস/টোয়েফল/এইচএসকে সনদ।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স।
আবেদন প্রক্রিয়া এবং সময়সূচি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভিন্ন হয়ে থাকে। দ্রুত আবেদন করলে সুযোগ বেশি।
তথ্যসূত্র: চীনের দূতাবাসের ওয়েবসাইট।
ক্যাম্পাস বুলেটিন ডেস্ক রিপোর্ট।
Good opportunity